আজ আপনাদেরকে পৃথিবীর এক শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। তাদের সামরিক বিভিন্ন শাখার সুশৃঙ্খল সব কর্মকাণ্ড আর লোমহর্ষক সব অভিযানের গল্প শোনাবো আপনাদের। আত্মত্যাগ, ক্ষমতা আর দক্ষতার জুড়ি মেলেনা এমনই অপরাজেয় এক আর্মি।
এখন তো সীমানা পাহাড়া দেয় বর্ডার গার্ড নামে আলাদা আধাসামরিক বাহিনী। সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিলে তখন আর্মি মোতায়েন করা হয়। এক আজব দেশের গল্প শোনাচ্ছি আপনাদের। যেখানে সীমান্তে বারোমাসই চলে ভয়াবহ উত্তেজনা। উভয় পক্ষই আল্লাহর দেয়া ২৪ ঘণ্টা মোতায়েন রেখেছে সুসজ্জিত সেনাবাহিনী। পুরো দেশের সীমানা জুড়ে শক্তিশালী কাঁটাতারের বেড়া। ওপাশ দিয়ে শত্রুপক্ষের নানা কিসিমের আর্মিক্যাম্প। টহল-কুচকাওয়াজ- মহড়া সবই চলছে ধুমসে। ওদের একাডেমী গুলোও সীমান্তের ওপাশেই, যেখানে প্রতিমুহূর্তে যোগ হচ্ছে নতুন রিক্রুট, গুণিতক হারে বাড়ছে ওদের সেনাসংখ্যা। প্রতিদিনই অসংখ্যবার হামলার চেষ্টা করছে ওরা। নিশ্ছিদ্র বেড়াটায় একটু খানি ফাটলের অপেক্ষা। সামান্য ফাটল পেলেই শত্রু হামলে পড়বে। এ দেশ যে বড় সুন্দর, সুজলা-সুফলা, সকল দেশের রাণী। একবার ঢুকতে পারলেই সোনার দেশে লুটপাট চালিয়ে শেষ করে দেবে রাক্ষসগুলো।
এখন আসি যে দেশের গল্প শুরু করেছি। ইনফ্যান্ট্রি বা পদাতিক ডিভিশন। দেশের সীমান্ত রক্ষার কাজে নিয়োজিত। সীমান্তের এই পাশেই আমাদের পদাতিক বাহিনীর শত শত ক্যাম্প। একটু ভিতরেই শত শত ক্যান্টনমেন্ট। আরেকটু ভেতরে শত শত মিলিটারী একাডেমী, তৈরি হচ্ছে আরো সেনা, দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। শত শত টহল প্লাটুন সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। সাদা পোশাকের। এক সকালের ঘটনা। পাহাড়ি পথ ধরে এমনি একটি প্লাটুন টহল দিচ্ছে। তীক্ষ্ণ চোখে দেখে নিচ্ছে সব। গ্রামবাসীরা নিশ্চিন্তে তাদের কাজে নিয়োজিত। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এখন তো এক সেকেণ্ড জিরোনোর সময় নেই। হঠাৎ দূরে যেন ধোঁয়ার রেখা? কী ব্যাপার? কমাণ্ডিং অফিসার দূরবীনে চোখ লাগিয়ে নিশ্চিত হলেন। হ্যাঁ, ধোঁয়াই বটে। তার মানে শত্রু? দ্রুত মার্চের নির্দেশ দিয়েই ওয়্যারলেসে যোগাযোগ করলেন ক্যান্টনমেন্টে, আরো সৈন্যসাহায্য চাইলেন।
ঠিক তাই। গ্রামের ঐ অংশের কাঁটাতারের বেড়াটুকু দুর্বল হয়ে ভেঙে পড়েছে। ঢুকে পড়েছে শত্রু। খুন, লুটপাটের উৎসব শুরু হয়েছে। পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে দানবেরা। তাদের উল্লাসে নরক গুলজার। দ্রুত মার্চ করে কাছাকাছি গিয়ে রাস্তা ছেড়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়ল আমাদের প্লাটুন। ক্রল করে একদম কাছে পৌছে গেল শত্রুর। প্রতিশোধের আগুনে ধক ধক করে জ্বলছে চোখগুলো। ‘ফায়ার’— অফিসারের নির্দেশ পেতেই একসাথে গর্জে উঠল রাইফেল, এসএমজি, এলএমজি। অপ্রস্তুত শত্রুবাহিনী সামলে নিয়ে পজিশন নিল। উভয় পক্ষে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। ওদিকে অফিসারের ফোন পেয়েই ক্যান্টনমেন্ট থেকে শত শত লরি রওনা দিয়েছে সেনা নিয়ে। বন্ধ করে রাখা অপ্রয়োজনীয় রাস্তাগুলোও খুলে দেয়া হয়েছে। সবগুলো রাস্তা দিয়ে ওরা আসছে দ্রুতবেগে। এরা আবার সাদার উপর ধূসর চকরাবকরা ইউনিফর্ম। স্থানীয় প্রশাসন ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে। রিইনফোর্সমেন্ট এসে পড়েছে, দ্বিগুণ উৎসাহে ঝাঁপিয়ে পড়েছে আমাদের সেনারা। শত্রুপক্ষের শেষ সৈন্যটির মৃত্যু নিশ্চিত করা হল এইমাত্র। মৃত সহকর্মীদের লাশগুলো নিয়ে চলে যায় আমাদের ইনফ্যান্ট্রি প্লাটুন। আর্মি মেডিকেল কোর এবং ইঞ্জিনিয়ার্স কোরের একটি প্লাটুন এসে পড়বে কিছুক্ষণের মধ্যেই। যুদ্ধবিধ্বস্ত গ্রামটি পুনর্নির্মিত হবে, আহতদের সুস্থ করে তোলা হবে, আবারো কর্মব্যস্ততার কোলাহলে মুখর হয়ে উঠবে গ্রামখানি। অবদান রাখবে দেশের জিডিপিতে।
বিরক্ত লাগলো? ধুর মিয়া, এটা কোন গল্প হলো? একটা টিপিক্যাল যুদ্ধের ধারাবিবরণী দিয়ে বলছেন গল্প বললাম? রোসো রোসো। একটা কথা বললেই আমার উপর রাগ পানি হয়ে যাবে মশাই। যে দেশটার গল্প বলার চেষ্টা করলাম, ওটা দেশ নয় গো। ওটা আপনার নিজের দেহ। জি স্যার এতোক্ষণ যে যুদ্ধের কথা বললাম সেটা প্রতি সেকেণ্ডে আপনার দেহে চলছে। শত্রু বদখত সব ব্যাকটেরিয়া রাক্ষস আর ভাইরাস দানবের বিরুদ্ধে এভাবেই আশ্চর্য শৃঙ্খলায় প্রতিটা যুদ্ধে আপনি জিতে চলেছেন আপনার অজান্তে। আপনার চামড়া বেড়াটির বাইরেই ওরা গিজগিজ করছে কোটি কোটি। বাচ্চা দিচ্ছে, খাদ্য সংগ্রহ করছে, আর কাটা-ফাটা পেলেই ভিতরে ঢুকে ইনফেকশান করার ধান্ধায় আছে। আর আপনার প্রতিরক্ষা বাহিনী শ্বেতকণিকা প্রতিনিয়ত আপনাকে বাঁচাতে প্রাণপণ যুদ্ধ করে চলেছে, আপনার খবরই নেই।
প্রথমে যারা মোকাবিলার জন্য এগোলো, এদেরকে টহলরত অবস্থায় মানে রক্তে থাকা অবস্থায় বলে ‘মনোসাইট’ ব্রিগেড। চামড়ার নিচে ক্যাম্পে থাকলে বলে ‘ল্যাঙ্গারহ্যান্স সেল’ ব্রিগেড। অন্যান্য ক্যাম্পে থাকলে বলে ‘ম্যাক্রোফেজ’ ব্রিগেড। লিভারের ক্যান্টনমেন্টে থাকলে বলে ‘কাপফার্স সেল’ ব্রিগেড। হাড্ডির ক্যান্টনমেন্টে থাকলে বলে ‘অস্টিওক্লাস্ট’ ব্রিগেড। ক্যাম্পের ব্রিগেডগুলো সীমানা পাহারা আর মারামারি করে। আর ক্যান্টনমেন্টের ব্রিগেডগুলো মারামারির পাশাপাশি পরিবেশ সাফ রাখা, রক্তে ক্যালসিয়াম ঠিক রাখা এসব কাজও করে। আর জরুরি অবস্থা হল যাকে আমরা জ্বর বলি। লোকাল তাপমাত্রাও বাড়তে পারে আর কেন্দ্রীয় সরকার জারি করলে তখন জ্বর বলে। স্বল্প জ্বর আসলে ভালো জিনিস। ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার ও চলাফেরা কমে। ফোন পেয়ে যারা পরে রওনা দিল, ওদের নাম নিউট্রোফিল। মনোসাইট-নিউট্রোফিল হল সম্মুখযুদ্ধের জন্য ট্রেনিং নেওয়া। পদাতিক বাহিনী, ইনফ্যান্ট্রি। আর মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ার্স কোরের যারা আসবে ওদের নাম ফাইব্রোব্লাস্ট, আক্রান্ত স্থানকে মেরামত করে। রাগ ভেঙ্গেছে তো? তাহলে চলেন আমাদের দেহরাজ্যের অন্যান্য বাহিনীগুলোর সাথে পরিচিত হই?
মনোসাইট-নিউট্রোফিল ব্রিগেডের সেনারা অতিশয় ভদ্র। লাশ সরানোর সময় সহকর্মীদের সাথে সাথে শত্রুদেরগুলোও সরিয়ে ফেলে। আসলে সরিয়ে ফেলেনা, খেয়ে ফেলে। তবে শত্রুদের পোশাকগুলো রেখে দেয়। এই পোশাক, জুতো, হেলমেট, আইডি কার্ড— সব পাঠিয়ে দেয় ক্যান্টনমেন্টে আর্মি ইন্টেলিজেন্সে। ওরা এগুলো নিয়ে গবেষণা করে। এই পাঠিয়ে দেয়াকে বলে Antigen Presentation মানে ব্যাকটেরিয়ার বিশেষ বিশেষ অক্ষতিকর অংশ ওরা প্রেজেন্ট করে। আর যারা গবেষণা করে ওদেরকে বলে ‘বি-লিম্ফোসাইট’। গবেষণার ইনফর্মেশনটা চলে যায় একাডেমীতে আর আর্মি অর্ডন্যান্স কোরে। একাডেমীতে কিছু সেনাকে ঐ জামা-জুতো-হেলমেট চিনিয়ে মুখস্ত করিয়ে দেয়া হয়, ঐ সেনাগুলোর নাম ‘মেমোরি সেল’। পরবর্তীতে ঐ জামাজুতো পরা কাউকে পেলেই আর কথা নেই, ডাইরেক্ট অ্যাকশন। স্বল্পতম সময়ে অ্যাটাক করে শেষ করে দেবে এরা। আগে থেকেই রেডি, পজিশন নিয়েই থাকে। আলাদা আলাদা জীবাণুর জন্য আলাদা আলাদা ব্রিগেড পজিশন নিয়ে থাকে। আর অর্ডন্যান্স কোরের কাজ হল ঐ জামাজুতো গবেষণা করে ঐ ধরনের জীবাণুর জন্য বিশেষ বোমা বানানো। একেক জীবাণুর জন্য একেক মডেলের বোমা, মানে অ্যান্টিবডি আরকি। এগুলোও রেডি থাকে, ঐ জামাজুতোওয়ালা কেউ ঢুকলেই হয়েছে। এই অর্ডন্যান্স কোরকে বলে ‘প্লাজমা সেল’। কী নিখুঁত দেখেছেন, কী সাজানো- পরিকল্পিত।
যদি শত্রু বেশি শক্তিশালী হয়, তখন? এখন তো আমরা অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে, আধাখেঁচড়া খেয়ে শত্রুদেরকে মিউট্যান্ট বানিয়েছি। যেমন রুগী, তেমন ডাক্তার। রুগীরাও চায় ম্যাজিক, ডাক্তারও দেয় অ্যান্টিবায়োটিক। দুজনই খুশি। রুগীও অ্যান্টিবায়োটিকের ম্যাজিকে একদিন খেয়ে আর খায়না। লাভ হল শত্রুর। বেশি শক্তিশালী শত্রুর ক্ষেত্রে সারা দেহে সৈন্য উৎপাদন বেড়ে যায়। এটা দেখার জন্যই রক্ত পরীক্ষা করতে বলে। আপনারা তো মানেন না। আপনার দেহে ইনফেকশনের লেটেস্ট অবস্থা জানার জন্যই টেস্ট দেয়। সারা দেহে বা ঐ স্থানে জরুরি অবস্থা জারি হয়। বন্ধ রাস্তাগুলো খুলে দেয়, মানে বন্ধ রক্তনালীগুলো; যাতে বেশি সৈন্য পাঠানো যায়, ফলে লাল হয়ে যায়। আর রস জমে এলাকা ফুলে যায়, আমাদের সৈন্যদের চলাচল সহজ করার জন্য। শত্রু শক্তিশালী, আমাদের সৈন্যরা হাজারে হাজারে আত্মাহুতি দিতে থাকে বাঘের মত লড়ে। মৃতদেহ দিয়েই আটকে দেয় শত্রুর অগ্রযাত্রা। এই মৃতদেহগুলোকেই আমরা ‘পুঁজ’ নামে চিনি।
ভাইরাস নামে আরেকধরনের শত্রু আছে। এরা আরো ছোট। চুপিচুপি ঢুকে পরে দেহের ভিতর, ব্যাকটেরিয়ার মত ঢাকঢোল বাজিয়ে না। ওদের নিজেদের বাচ্চা দেবার ক্ষমতা নেই। ওরা আমাদের কোষে ঢুকে পড়ে, দখল করে নেয় কলকারখানাগুলো। তখন কারখানাগুলো আমাদের জিনিস না বানিয়ে ওদের দরকারী জিনিস বানায়। সেগুলো দিয়ে তৈরি হয় বাচ্চা ভাইরাস, লাখে লাখে। মানে আমাদের কোষ দখল করে ক্যান্টনমেন্ট বানায়। আমাদের আর্মি ইন্টেলিজেন্স আক্রান্ত কোষের সিগন্যালে জেনে যায় ঘটনা। দেহের জায়গায় জায়গায় আর্টিলারী ও আর্মার্ড ক্যান্টনমেন্ট আছে, লিম্ফ নোড বলে তাকে। ট্যাংক, মর্টার মানে আর্মির বোমারু ব্রিগেড; আমরা বলি NK cell (Natural Killer cell)। খবর পেয়ে হাজারে হাজারে আমাদের আর্টিলারী ও আর্মার্ড ব্রিগেড ফরোয়ার্ড করে ট্যাংক-মর্টার নিয়ে । আক্রান্ত কোষ অর্থাৎ শত্রুর ক্যান্টনমেন্টগুলোকেই উড়িয়ে দেয় নিমেষে। এইডসের ভাইরাস কেন এত সিরিয়াস জানেন তো? ওরা অন্য কোষ কে ক্যান্টনমেন্ট বানায়না, খোদ সেনাবাহিনীকেই আক্রমণ করে বসে। এক এক সেনাসদস্যকেই বানিয়ে ফেলে এক একটা ক্যান্টনমেন্ট। পুরো দেশ হয়ে পরে আর্মিবিহীন। ফলে অন্যান্য শত্রুজাতি (জীবাণুটীবাণু) এমনকি শত্রুরাজ্যের বেসামরিক পাবলিকও (যারা নর্মালি ক্ষতি করে না) লুটপাট করে। ধ্বংস হয়ে যায় দেশ।
আরো আছে আর্মি সিগন্যালস কোর। আমরা বলি বেসোফিল। যুদ্ধের ফ্রন্ট ও সেন্ট্রাল কমান্ডের মধ্যে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে। জরুরি অবস্থা ও আর্মির অনুকূল পরিবেশ তৈরির নির্দেশ পাঠায়। যেমন হাঁচি, সর্দি বাড়িয়ে দেয় যাতে শত্রুকে ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছ্বাস দিয়ে ঘায়েল করা যায় বা আরো শত্রু আসাটা বন্ধ করা যায়। হেপারিন নামে কেমিক্যাল তৈরি করে রক্তকে পাতলা করে যাতে রক্ত সবখানে সেনা বহন করে নিতে পারে। সিগন্যাল দিয়ে রাস্তা চওড়া করে, মানে রক্তনালী মোটা করে দেয় যাতে বেশি সেনা যেতে পারে একসাথে।
ইওসিনোফিল নামে আরেকটা ব্রিগেড আছে যারা সিগন্যালসের কাজও করে। আবার সম্মুখযুদ্ধেও যায়। তবে বড় সাইজের শত্রুর সাথে, যেমন কৃমি। কোন কৃমি পথ ভুলে রক্তে এলেই সেরেছে। হাজারে হাজারে সাদা-লাল চকরাবকরা পোশাকের সেনা এসে ফায়ারিং, গ্রেনেড চার্জ, বেয়নেট চার্জ করে এফোঁড় ওফোঁড় করে দেবে বাবাজিকে।
লেখাটা এখানেই শেষ না। আরও চলবে ইনশাআল্লাহ। আজকে একটা কৌতুক দিয়ে শেষ করি। একটা সময় আর্মির কাজ ছিল শুধুই মারামারি করা। এখন আর্মির কাজ অনেক জটিল। যত জটিল হয়েছে তত প্রতিরক্ষা কার্যক্রমের সুবিধার্থে কাজকে ভাগ করে ভিন্ন ভিন্ন ইউনিটে-কোরে ভাগ করা হয়েছে। মানব সভ্যতার হাজার বছর থেকে শিক্ষা নিয়ে সমরবিদরা মাথা খাটিয়ে বের করেছেন এসব কৌশলগত কর্মবণ্টন, তৈরি হয়েছে ‘মিলিটারি সায়েন্স’ নামে আলাদা শাস্ত্র। এবার কৌতুকটা বলব। আস্তে হাসবেন প্লিজ, জোরে হেসেন না।
“আপনার দেহের এই নিখুঁত ‘মিলিটারি সায়েন্স’ টা কিন্তু কোন পরিকল্পনা ছাড়াই হয়েছে। এলোমেলোভাবে, র্যান্ডমলি। লক্ষ বছরের ঝড়, ভূমিকম্প, ঠাডা পড়ে হুদাই এমনি এমনিতেই এই সূক্ষ্ম পারফেক্ট আর্মি ট্যাকটিক্স আপনার বডিতে ডেভলপ করেছে। এটা নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই, অন্ধ মুমিন্স কোথাকার!”
আর্মির বন্ধুদের সাথে এই আর্টিকেলের লিংক শেয়ার করতে পারেন, মজা পাবেন ওনারা বেশি।