এটা তো পাগলেও বোঝে যে,
- পুরুষ তৈরিই হয় নারীর গর্ভে, নারীর কোলে।
- সমাজ-জাতি-সভ্যতা তৈরিই হয় নারীতে।
সুতরাং এটা তো খুবই স্বাভাবিক যে, যারা সমাজ-জাতি-সভ্যতা নিয়ে চিন্তা করবেন, বিপ্লবের রূপরেখা আঁকবেন, তারা নারীকে নিয়ে কথা বলবেন। এই কারিগর কেমন হওয়া চাই, সেটা নিয়ে কথা বলবেন, রূপকল্প পেশ করবেন।
যে যেরকম সভ্যতা তৈরি করতে চায়, সে তেমন নারী (কারিগর) তৈরি করার প্রস্তাব পেশ করেছে।
- সমাজতন্ত্রীদের একটা অংশ বিবাহকে মিটিয়ে দিয়ে বলেছে নারী কোনো ব্যক্তির না, নারী সমাজের। নারী পুরো সমাজের। সুতরাং…
- লিবারেলদের মাঝে এক্সট্রিমরাও বিবাহ উঠিয়ে দিয়ে জরায়ুর স্বাধীনতার পক্ষে।
- র্যাডিকেল নারীবাদীরাও একই রকমভাবে নারীকে দেখতে চায়।
- জাহেলিয়াতের যুগে নারীর একটা পিকচার আরব সমাজে ছিল। ইসলাম এসে তাকে ফিতরাতী করেছে। নারীকে নারীর ফিতরাতী পজিশনে ফেরত নিয়েছে। কিয়ামত তক যেমন মানুষ, যেমন সভ্যতা, যেমন দেশ-উম্মাহ ইসলাম তৈরি করতে চায়, তেমন করে নারীকে তৈরি করেছে।
- উপনিবেশ আমলে বিদেশীরাও মুসলিম নারীদেরকে টার্গেট করে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছিল। যার ফলাফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। উপনিবেশীদের মনমতো যে নারী, তার থেকে সাচ্চা মুসলিম জাতি-সভ্যতা ফিরিয়ে আনার আশা অলীক।
সুতরাং, সমাজচিন্তকদের বিপ্লবীদের রূপরেখার একটা বিরাট অংশ জুড়েই থাকবে নারী নিয়ে আলাপ। এতে একশ্রেণীর ফুটেজখোর হুজুর ছাড়া আর কেউ অবাক হবে না। নাস্তিক-বাম-আধাবাম-কাঠসেক্যু-ফেমিনিস্টদের পছন্দসই হতে হলে হুজুরের এমন জাফর ইকবালীয় 'আমি-বুঝিনা'টাইপ ভাব ধরা ছাড়া আর কী করার আছে। 'আমি বুঝিনা সবাই কেন নারীদের নিয়ে এত আলাপ করে, কুরআনে তো নারী নিয়ে এত আলাপ নেই'। আহ, কী ন্যাকা।