আলাপটা হাসিমজাকপূর্ণ হলেও সিরিয়াস আলাপ। ট্রান্সগন্ডার নামে যে পশ্চিমাবিকৃতি আমদানি হচ্ছে, তার ভুক্তভোগী হবে মেয়েরাই। কীভাবে? দেখেন।
মেয়েরা স্বাভাবিকভাবেই মেয়েদের পরিসরে রিল্যাক্স ফিল করে, কমান্ডিং ফিল করে। এগুলো রিসার্চেও এসেছে। মেয়েরা মেয়েদের মাঝে পোশাকআশাক বা কথাবার্তায় বা দেহভঙ্গিতে কিছুটা ইনফর্মাল বা অবিন্যস্ত বা রিল্যাক্সড থাকে। ইজি হয়। একটা পুরুষ মানুষ থাকলে গুছিয়ে বসে, কাপড়চোপড় সামলে রাখে, মানসিকভাবেও কিছুটা এলার্ট হয়, কথাবার্তাও মুখে যা আসে তা বলে না, মেয়েলি আলাপ চললে পুরুষ এলে থামিয়ে দেয়।
গন্ডার নর্মাল হলে যা হবে, মেয়েরা তাদের এই স্পেস হারাবে। নিজেকে মেয়ে দাবি করে মেয়েদের টয়লেট ও অন্যান্য পরিসরে-আলাপে বড় চুল ওয়ালা, বিরাট কাঁধওয়ালা, মাসলওয়ালা, চওড়া চোয়ালযুক্ত নারীপোশাক সাজসজ্জায় উদ্ভট কিছু জীব ঢুকে যাবে। মেয়েরা গণডিজকমফোর্ট ফিল করবে।
রেপিস্টরা এই সুযোগটা নেবে। পরচুলা পরে ইউনিসেক্স ড্রেস পরে বা নারীর পোশাক পরে মেয়েদের পরিবেশে ঢুকে যাবে। একেলা কোনো মেয়েকে টয়লেটে বা অন্দরমহলে পাওয়া এদের জন্য সহজ হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়ত, সমকামিদের মাঝে বাইসেক্সুয়াল বলে একটা টার্ম আছে। সে ছেলেদের কাছে প্যাসিভ, মেয়েদের কাছে এক্টিভ। ট্রান্সগন্ডারদের মাঝে এমনও অনেকে থাকবে যারা মেশিনপত্রসহই নিজেকে মেয়ে দাবি করবে। এরা মেয়েদের টয়লেট, মেয়েদের হোস্টেল, মেয়েদের কারাগারে থাকবে। আর বাইসেক্সুয়াল খায়েশ পুরা করতে মেয়েদেরকেই শিকার করবে। পশ্চিমে এসব বহু হচ্ছে। অহরহ ট্রান্সগন্ডারদের হাতে ধর্ষিত হচ্ছে নারীরা-শিশুরা। এরা সহজেই শিকার পাচ্ছে। সুতরাং বড় ক্ষতিটা নারীশিশুদের হবে। সুতরাং সর্বস্তরের মানুষের এর প্রতিবাদ করা উচিত। আমাদেরই মেয়েরা পড়ছে, চাকরি করছে নানান জায়গায়। তারা ভীষণভাবে অনিরাপদ হয়ে পড়বে। স্কুলে গন্ডার শিক্ষকের কাছে আপনার শিশু অসহায় হয়ে পড়বে।
আবার মেয়ে থেকে যারা ছেলে দাবি করবে, তারা আবার পুরুষের সমান সম্পত্তি পাবে। তাহলে লস হয়ে গেল ভাইদের। সুতরাং সকল ভাইয়ের উচিত হবে বোনদের গন্ডার হতে না দেয়া। টমবয় ভাব দেখলে হরমোন পরীক্ষা করানো, মেয়েদের মাঝে রাখা। বহু গন্ডারফন্ডার আগের দিনে টিজ করে ঠিক করে ফেলা যেত।
তবে আসলেই যাদের শারীরিক সমস্যা আছে, তাদের কথা ভিন্ন। শরীরগত ভিত্তি থাকতে হবে। 'আমার মনে হয় আমি কুকুর', 'আমার মনে হয় আমি আমেরিকার সিটিজেন' এসব চলবে না।